মেদিনীপুর শহরের কাছে ছোট্ট একটা গ্রাম কর্ণগড়। এই গ্রামেই রয়েছে দ্বিতীয় চূয়াড় বিদ্রোহের নেত্রী 'রাণী শিরোমণির গড়' ও 'মহামায়া মন্দির'। ইতিহাসের টানে বহু পর্যটক ছুটে আসেন এই কর্ণগড়ে। প্রবাদ আছে মহাভারতীয় যুগে কর্ণের অধীনে বর্তমানের বাংলা, বিহার ও ওড়িশার কিছু অংশ নিয়ে এক শক্তিশালী রাজ্য গড়ে উঠেছিল। মেদিনীপুরের নিকটবর্তী কর্ণগড় ছিল এই রাজ্যের রাজধানী। কিন্তু কর্ণ রাজার সাথে এরকম কোনো সম্পর্ক যে নেই তা নিঃসন্দেহে বলা যেতে পারে। আবার কেউ অনুমান করেন যে, উৎকলাধিপতি কর্ণকেশরী এখানে একটা নগর প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন। কবি সন্ধ্যাকার নন্দীর লেখা 'রাম চরিতম' নামে সংস্কৃত কাব্যে এই কর্ণকেশরীর কথা উল্লেখ আছে। মহামায়ার মন্দিরের গঠন প্রণালী দেখে কেশরী-বংশের রাজা কর্ণকেশরী এখানে নগর প্রতিষ্ঠিত করে মন্দির নির্মাণ করেছিলেন বলে অনুমান করা যেতেই পারে। কেশরী-বংশের সময় উৎকলে বহু দেব-মন্দির, অট্টালিকা ও সুরম্য রাজ-প্রাসাদ প্রভৃতি নির্মিত হয়েছিল। আজও তাদের ধ্বংসাবশেষ নয়নমুগ্ধ করে।
রাণী শিরোমণির গড়ের এই প্রাচীন নিদর্শন দেখতে আসা বহু অনুরাগীদের পাশাপাশি ভক্তির টানেও কর্ণগড়ে মহামায়ার মন্দিরে প্রতিদিন পূজো দিতে আসেন পূণ্যার্থীরা। এই মন্দিরে অনেকে বিবাহ, অন্নপ্রাশন, জন্মদিন, নতুন গাড়ি পুজো ইত্যাদি শুভকার্য অনুষ্ঠান করে থাকেন। মন্দির ছাড়াও জঙ্গল ও নদী দিয়ে ঘেরা কর্ণগড়ের মনোরম প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও গ্রাম্য পরিবেশ পর্যটকদের আকৃষ্ট করে। বহুবার গিয়েছি এই কর্ণগড়ের মহামায়া মন্দিরে কিন্তু এই প্রথমবার দেখে এলাম রানী শিরোমণির গড়ে সেই ঐতিহ্যবাহী প্রাসাদের ধ্বংসস্তূপ।
 |
| ভাদুতলা মোড়ের কাছে তোরণ দ্বার |
মেদিনীপুর শহর পেরিয়ে ভাদুতলা মোড়ের কাছে ডানদিকে দেখলাম একটা সুদৃশ্য তোরণ। তোরণের দুপাশে রয়েছে চুয়াড় বিদ্রোহের স্মারক হিসেবে তীর-ধনুক হাতে আদিবাসী মূর্তি এবং উপরে মা মহামায়া ও সাধক রঘুবাবার সিমেন্টের তৈরি মূর্তি। এই তোরণ পেরিয়ে পৌঁছে গেলাম কর্ণগড় গ্রামের মহামায়া মন্দিরে।
 |
| চুয়াড় বিদ্রোহের স্মৃতিসৌধ |
উঁচু প্রাচীর দিয়ে ঘেরা চত্বর। ঢোকার পথে রয়েছে মন্দিরের আদলে তৈরি একটা সুন্দর প্রবেশদ্বার, যার স্থাপত্য অভিনব। এটাই এখন মন্দির চত্বরে ঢোকার মূল প্রবেশপথ। মাকড়া পাথরের তৈরি অদ্ভুত এই প্রবেশদ্বারটা যেন একটা তিনতলা মন্দির। প্রবেশদ্বারের উত্তর ও দক্ষিণ দু'দিক দিয়েই সংকীর্ণ সিঁড়ি বেয়ে উপরে ওঠা যায়। মন্দিরের পূর্ব দিকের প্রবেশদ্বারটা ছিল এককালে প্রধান প্রবেশপথ। জীর্ণ হাওয়ায় ওই দ্বারটা এখন আর প্রধান প্রবেশপথ হিসেবে ব্যবহার করা হয় না। এই প্রবেশদ্বারটা 'যোগী ঘোপা' বা 'যোগমন্ডপ' নামে পরিচিত। যে সকল সাধকেরা শক্তি সাধনার জন্য মহামায়া মন্দিরে আসেন তাঁরা প্রথমে এই যোগ মণ্ডপের তিনতলায় বসে যজ্ঞ ও যোগসাধন করে থাকেন।
 |
| 'যোগী ঘোপা' বা 'যোগমন্ডপ' |
যোগমন্ডপের ভিতর দিয়ে ঢুকেই দেখি কর্ণগড়ের অধিদেবতা অনাদিলিঙ্গ ভগবান দণ্ডেশ্বরের মন্দির। এই চত্বরের সবচেয়ে বড় মন্দির এটা। ওড়িশা শৈলীর রেখ-দেউল স্থাপত্য রীতিতে তৈরি। দণ্ডেশ্বর মন্দিরের চূড়ায় বেঁকি, আমলক ও কলস স্থাপিত এবং মন্দিরের বাইরের দেওয়ালের উপরের অংশের চারদিকে চারটে সিংহ ও পিছনের দিকের দেওয়ালের গায়ে শিব-দুর্গা এবং লাঠি হাতে কোনো ভক্তের প্রতিমূর্তি দেখা গেলো। সামনের জগমোহনের মূল চূড়া ছাড়া উত্তর, দক্ষিণ, পশ্চিম দিকে আরও তিনটে চূড়া আছে। দণ্ডেশ্বর বিগ্রহটা কোনও শিবলিঙ্গ নয় তার বদলে একটি কালো পাথরের ভিতরে গভীর গর্ত রয়েছে যা 'যোনিপীঠ' নামে পরিচিত। মন্দিরের ভিতরে রয়েছে খড়্গেশ্বর শিবের একটা কালো পাথরের লিঙ্গ।
 |
| মহাবীর মন্দির ও দণ্ডেশ্বর মন্দির |
কথিত আছে, খড়্গেশ্বর শিবলিঙ্গটা কবি রামেশ্বর প্রতিষ্ঠা করেন। দণ্ডেশ্বর মন্দিরের দক্ষিণ দিকে মহামায়ার মন্দিরটা একইরকম তবে উচ্চতায় সামান্য একটু ছোট। প্রবাদ, কর্ণগড় রাজবংশের রাজা কর্ণকেশরী এই মন্দির দুটো স্থাপন করেছিলেন এবং তাঁর নাম অনুসারে এই জায়গাটার নাম কর্ণগড়।
 |
| মন্দির চত্বর |
বগলামুখী মা মহামায়া ও অভয়া মায়ের এই মন্দিরের সামনে রয়েছে একটি পঞ্চমুণ্ডীর যোগাসন। কর্ণগড়ের খ্যাতনামা রাজা যশোবন্ত সিংহ এবং রাজার সভাকবি শিবায়ণ কাব্যপ্রণেতা রামেশ্বর ভট্টাচার্য মা মহামায়ার মন্দিরে এই পঞ্চমুণ্ডীর আসনে বসেই সিদ্ধিলাভ করেছিলেন।
 |
| মা মহামায়া বগলামুখী ও অভয়া মায়ের মন্দির |
মহামায়া ও দণ্ডেশ্বর মন্দিরের মাঝে রয়েছে একটা সমতল ছাদের মন্দির। মন্দিরটি যোগমায়া দেবীর। মহামায়া মন্দিরের ঠিক পিছনে সিদ্ধকুণ্ড নামে একটা পবিত্র কুণ্ড আছে। কয়েকটা সিঁড়ি বেয়ে এই কুণ্ডে নামতে হয়। তবে কুণ্ডের জলে নামা সম্পূর্ণ নিষেধ। দণ্ডেশ্বর মন্দিরে শিবের উদ্দেশ্যে ভক্তরা যে জল ও দুধ ঢালেন তা সুড়ঙ্গ পথে এই কুণ্ডে এসে সারা বছর জমা হয় এবং ভক্তরা সেটা চরণামৃত রূপে পান করেন। বছরে একবার এই কুণ্ডটিকে সংস্কার করা হয়। শিবকুণ্ডের কাছে দণ্ডেশ্বর মন্দিরের পিছনে নহবতখানা সহ আরও একটা প্রবেশদ্বার আছে। মাকড়া পাথরের তৈরি এই প্রবেশপথটা একইরকম রাখা আছে। এর ওপরে সিমেন্ট বালির পলেস্তারা নেই।
 |
| যোগমায়া মন্দির |
দণ্ডেশ্বর মন্দির আর মহামায়া মন্দিরের মধ্যে রয়েছে কল্পতরু মন্ডপ। পুণ্যার্থীরা মনস্কামনা পুরণের জন্য গাছের বদলে এখন পাশে একটা সিমেন্টের খুঁটিতে লাল সুতোয় পাথর বেঁধে ঝুলিয়ে রাখেন। সুন্দর ফুলবাগান ও গাছপালা ঘেরা মন্দির চত্বর। মন্দির চত্বরে রয়েছে মা মহামায়ার সাধক রঘুবাবার মন্দির। দণ্ডেশ্বর মন্দিরের উত্তরে রয়েছে মহাবীর হনুমান মন্দির। আগে এখানে মন্দিরগুলো বেশ খোলামেলা ছিল এবার এখানে এসে দেখি সমস্ত মন্দিরের উঁচু বেদীর চারপাশে স্টীলের রেলিং দিয়ে ঘেরা। কল্পতরু মন্ডপটাও দেখি একটি স্টীলের খাঁচা দিয়ে ঘিরে রাখা হয়েছে।
 |
| কল্পতরু মন্ডপ |
মহাবীর মন্দিরের পাশে প্রাচীরের বাইরে রয়েছে একটি বিশাল পুকুর। উৎকল শিল্পরীতিতে তৈরি মাকড়া পাথরের এই মহামায়া মন্দির ও দণ্ডেশ্বরের মন্দিরটা আজও অটুট রয়েছে। এই মন্দিরগুলো এমন সুদৃঢ় ভাবে নির্মাণ করা যে যুগযুগান্তরেও বিলুপ্ত হয়ে যাবে না। নিয়মিত সংস্কারের ফলে মন্দিরগুলোকে কোনোসময়ে দেখে প্রাচীন বলে মনে হয়নি।
 |
| মন্দিরের পুকুর |
চুয়াড় বিদ্রোহের নেত্রী রাণী শিরোমণির গড়
দেবী মহামায়ার মন্দির দর্শন করে চললাম রাণী শিরোমণির গড়ে। কর্ণগড় গ্রামের ভিতরে মোরাম রাস্তা ধরে চলে এলাম শীর্ণকায়া এক নদীর ধারে। বুকে তার এক ফোঁটা জল নেই। একেবারে শুকনো খটখটে। ভারী সুন্দর তার নাম – 'পারাং'। নদীতে জল না থাকায় হেঁটে খুব সহজেই বাইক নিয়ে পার হয়ে গেলাম। নদী পেরিয়ে কিছুটা যাওয়ার পর দেখতে পেলাম চুয়াড় বিদ্রোহের স্মৃতি বিজড়িত 'রাণী শিরোমণির গড়' অর্থাৎ দুর্গটি। বর্তমানে এই দুর্গের সামান্য কিছু অংশ ছাড়া আর কোনো অস্তিত্ব নেই। গড়ের মধ্যে একটা পশ্চিমমুখী আটচালা মন্দির পরিত্যক্ত অবস্থায় দেখতে পেলাম। তার পাশে গড়ের স্থাপত্যটি ভেঙে প্রায় মাটির সঙ্গে মিশে গিয়েছে। দীর্ঘদিন অবহেলায় থাকতে থাকতে প্রায় ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। কেবল গুটিকয় ইঁট-পাথর পড়ে রয়েছে।
 |
| গড়বাড়ির ধ্বংসাবশেষ |
কর্ণগড়ের ইতিহাস
ষোলো শতকের মাঝামাঝি রাজা সুরথ সিংহ মেদিনীপুরের কর্ণগড় অঞ্চলে রাজত্ব করতেন। তিনি ছিলেন এই অঞ্চলের খয়রা রাজা। 'খয়রা' জঙ্গলের উপজাতি, নিচু শ্রেণীর হিন্দু। সুরথ সিংহের দুই সেনাপতির মধ্যে অন্যতম ছিলেন লক্ষণ সিংহ। লক্ষণ সিংহ উড়িষ্যার কেশরী-বংশের তৎকালীন রাজার সহযোগিতায় ষড়যন্ত্র করে সুরথ সিংহকে হত্যা করে এই অঞ্চলের রাজা হয়ে কর্ণগড়ে নিজের রাজধানী প্রতিষ্ঠিত করেন। লক্ষণ সিংহের উত্তরপুরুষ রাজা রাম সিংহের পুত্র ছিলেন খ্যাতনামা যশোবন্ত সিংহ। রাজা রাম সিংহের সময় বিখ্যাত 'শিবায়ণ' রচয়িতা রামেশ্বর ভট্টাচার্য্য ঘাটালের রাজা শোভা সিংহের অত্যাচারে নিজের জন্মভূমি যদুপুর গ্রাম ছেড়ে কর্ণগড়ে আশ্রয় গ্রহণ করেছিলেন এবং যশোবন্ত সিংহের রাজত্বকালে তাঁর সভাকবি থাকাকালীন 'শিবায়ণ' কাব্যখানা রচনা করেছিলেন। রাজা যশোবন্তের পুত্র অজিত সিংহ ছিলেন কর্ণগড়ের শেষ রাজা। অজিত সিংহের দুই রাণীর মধ্যে এক রাণী হলেন শিরোমণি। ইতিহাসে যিনি চূয়াড় বিদ্রোহের নেত্রী হিসেবে খ্যাত। দ্বিতীয় চুয়াড় বিদ্রোহের মূল পৃষ্ঠপোষক ছিলেন এই রাণী শিরোমণি।
 |
| 'রাণী শিরোমণির গড়' |
পারাং নদীর কুল ঘেঁষা টিলার উপর ছিল সেই রাণী শিরোমণির গড়। গড়টি সদর ও অন্দর হিসেবে দুটো মহলে বিভক্ত ছিল। গড়ের তিনদিকে জঙ্গল এবং পূর্বদিকে চাষের জমি ছিল। জঙ্গল থেকে পারাং নদী বেরিয়ে গড়ের দু'দিকে প্রবাহিত হয়ে আবার একজায়গায় এসে মিলেছে। ফলে নদীটা পরিখার মত শত্রুর আক্রমণের হাত থেকে গড়কে রক্ষা করতো।
 |
| চারদিক বাঁধানো পুকুর |
ভগ্নাবশেষ দেখে অনুমান করা যায় গড়ের ভিতরে রাজবাড়ীটা মাকড়া পাথর এবং ইঁট দিয়ে তৈরি করা হয়েছিল। রাজবাড়ী লাগোয়া স্থানে চারদিক বাঁধানো একটা পুকুর এবং তার পাশে আর একটা সরোবরের মধ্যে পাথরের তৈরি দ্বীপের মতো জলহরি দেখতে পাওয়া গেলো।
 |
| জলহরি |
গড়ের অদূরে চারচালা গঠনের একটা প্রাচীন মন্দিরের ভগ্নাবশেষ লক্ষ্য করা গেলো। মন্দিরের উপরের অংশের চূড়াটা ইঁটের এবং বাকি অংশ মাকড়া পাথর দিয়ে তৈরি। মূল মন্দির ও তার উপরের চূড়াটা এখনো টিকে আছে, তবে চারদিকের ইঁটের তৈরি চালাগুলো সম্পূর্ণ ভেঙে গেছে এবং মন্দিরের চারদিকে বনজঙ্গলে ছেয়ে গেছে। মন্দিরটি কোন দেবতার উদ্দেশ্যে উৎসর্গীকৃত হয়েছিল তা জানা যায়নি।
 |
| গড়ের পরিত্যক্ত মন্দির |
দীর্ঘদিন অযত্ন-অবহেলায় পড়ে থাকা গড়টি জঙ্গল ও আগাছার আড়ালে হারিয়ে গিয়েছিলো। বর্তমানে সরকারি উদ্যোগে ঝোপঝাড় সরিয়ে গড়ের সংস্কার করে সৌন্দর্যায়নের কাজ চলছে। চারপাশে সবুজ ক্ষেতের মধ্যে গ্রাম্য পরিবেশে ন'টি কটেজ তৈরি করে পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলা হচ্ছে।
 |
| গ্রাম্য পরিবেশে তৈরি কটেজ |
কটেজ গুলো বাঁশের দেওয়াল দেওয়া খড় ও টালির ছাউনি দিয়ে তৈরি, দুটি কটেজ আবার আদিম যুগের মতো পাথরের দেওয়াল দিয়ে তৈরি। পর্যটকদের কাছে আকর্ষণীয় করে তোলার জন্য বসানো হয়েছে প্রচুর পলাশ গাছ। অফবিট জায়গা হিসেবে খুব শীঘ্রই রাজ্যের পর্যটন মানচিত্রে সংযোজিত হতে চলেছে এই 'রানী শিরোমণির গড়'।
 |
| পাথরের দেওয়াল দিয়ে তৈরি কটেজ |
» প্রয়োজনীয় তথ্যমহামায়া মন্দিরে অনেকে বিবাহ, অন্নপ্রাশন, জন্মদিন, নতুন গাড়ি কেনার পরে পুজো দেওয়া ইত্যাদি শুভকার্য অনুষ্ঠান করে থাকেন। বিবাহ, অন্নপ্রাশন, জন্মদিন ইত্যাদি অনুষ্ঠানের লোকজন খাওয়ানোর সম্পূর্ণ ব্যবস্থা মহামায়া সেবা সমিতির তরফ থেকে দায়িত্ব সহকারে পালন করে থাকে। মন্দিরে লোকজন খাওয়ানোর ব্যবস্থা করতে হলে আগের দিন অথবা ঐদিন সকাল ৮:৩০ এর মধ্যে গিয়ে কমিটির সাথে যোগাযোগ করতে হবে। নিজে সমস্ত উপকরণ কিনে দিলে পরিষেবা খরচ হিসেবে মাথাপিছু ১০ টাকা করে লাগবে। আর সেবা কমিটিকে সম্পূর্ণ পরিষেবার দায়িত্ব দিলে মাথাপিছু ৪৫ টাকা করে লাগবে। আনুসাঙ্গিক খরচ কিছু লাগবে না। দু চাকার গাড়ি পুজোর জন্য ৫০ টাকা, চার চাকার গাড়ির জন্য ১০০ টাকা এবং বড় গাড়ি পুজো করতে হলে ২০০ টাকা জমা করে মহামায়া সেবা সমিতির কাছে অগ্রিম কুপন সংগ্রহ করতে হবে। বিবাহের অনুষ্ঠানের জন্য মহামায়া সেবা সমিতির কাছে সরকারি নিয়ম অনুযায়ী যাবতীয় তথ্যের প্রমাণপত্রের কপি জমা করে নাম নথিভুক্ত করতে হবে। বিবাহের সময় সকাল ৯ টা থেকে দুপুর ১:৩০ টা এবং বিকেল ৫ টা থেকে সন্ধ্যে ৭ টা পর্যন্ত।
এখানে প্রতিদিন বেলা একটা থেকে খিচুড়ি ভোগ খাওয়ানো হয়, সকাল ৮:৩০ থেকে ৯:৩০ এর মধ্যে সেবা সমিতির অফিসে গিয়ে ভোগের কুপন সংগ্রহ করতে হয়। একটা ভোগের কুপন ৪৫ টাকা। বিশদ জানতে হলে মহামায়া সেবা সমিতির সাথে +৯১ ৯৪৭৫৬৭২৪৯৪ অথবা +৯১ ৯০০২১৪৩২৩৬ মোবাইল নম্বরে যোগাযোগ করুন।
» পথ নির্দেশিকা
© ছবি ও লেখাঃ- অরবিন্দ পাল (তথ্যসূত্রঃ- 'পশ্চিমবঙ্গ দর্শন' - তরুণদেব ভট্টাচার্য্য, 'পুরাকীর্তি সমীক্ষা' মেদিনীপুর - তারাপদ সাঁতরা, 'মেদিনীপুরের ইতিহাস' - যোগেশ চন্দ্র বসু)
KARNAGARH, PASCHIM MEDINIPUR, WEST BENGAL
এরম একটা লেখা খুব দরকার ছিলো। অসংখ্য ধন্যবাদ।
ReplyDeleteকর্নগড় মন্দির যাওয়ার বর্নণা খুব সুন্দর এবং
ReplyDeleteমনগ্রাহি।