আমাদের ট্যুরের প্রি প্ল্যান অনুযায়ী সকাল সাড়ে সাতটায় গাড়ি নিয়ে সৌমেনের ঘরে চলে এলাম। সৌমেনকে গাড়িতে তুলে নিয়ে এরপর গেলাম স্বরূপের বাড়িতে। দেখি ছোট্ট একটা ব্যাগ হাতে এগিয়ে আসছে। কাছে এসে বলল 'আমি কিন্তু কথা রাখতে পারলাম না'। মানে, মাংসটা আনতে পারিনি। সৌমেন একটু অসন্তুষ্ট হয়ে পড়লো। তাহলে দুপুরের খাওয়া আজ হবে না! এবার কি হবে? আমি দুজনকে তখন আশ্বস্ত করে বললাম কোনো চিন্তা নেই, তোমরা না বললেও আমি কিন্তু সমস্ত খাবারের ব্যবস্থা করে এনেছি।
লালগড়ের আগে ঝিটকার জঙ্গলে এক জায়গায় গাড়ি দাঁড় করিয়ে কয়েকটা ছবি তুললাম। লালগড় পর্যন্ত রাস্তাটা ভালো করে জানা ছিল। লালগড়ে কংসাবতী নদীর উপরে নতুন ব্রিজ হয়েছে। ব্রিজের ওপারে কোনোদিন যায়নি। ব্রিজ পেরিয়ে জিপিএস-এর দেখানো ডানদিকের মোরাম রাস্তাটা দেখে যাওয়ার সাহস হলো না। পরে ফেরার সময় ঐ রাস্তা দিয়ে আসার সময় বুঝলাম যাওয়ার সময় না গিয়ে ভালোই করেছিলাম। খানাখন্দে ভরা ভয়ঙ্কর সেই সাড়ে চার কিলোমিটার রাস্তার কথা বহুদিন মনে থাকবে। লাইফে প্রথমবার কোনো ভয়ঙ্কর রাস্তায় গাড়ি ড্রাইভ করেছিলাম। রাস্তার পাশেই মোড়ের কাছে দাঁড়িয়ে ছিলেন স্থানীয় এক বাসিন্দা। তাঁকে জিজ্ঞেস করতে উনি আমাদের দহিজুড়ি হয়ে যাওয়ার জন্য পরামর্শ দিলেন। আমরা সেই পথ অনুসরণ করে মসৃন রাস্তায় দহিজুড়ি পৌছালাম।
.JPG) |
| লালগড় ব্রীজ |
দহিজুড়ি ছেড়ে এবার এগিয়ে চললাম বেলপাহাড়ির দিকে। পথে পড়ল বিনপুর, শিলদা। গাড়ি ছুটে চলেছে। এই রাস্তায় জঙ্গল প্রায় নেই, দু' ধারে ধানখেত। চলে এলাম বেলপাহাড়ির ইন্দিরা চকে। আমাদের প্রথম গন্তব্য ছিল খাঁন্দারানি লেক। ইন্দিরা চক থেকে একটু এগিয়ে হদরামোড়। একটা নীল সাইন বোর্ড। বাঁয়ে গাড়রাসিনি পাহাড়। আগুইবিল গ্রামের পাশের এক অখ্যাত পাহাড়। আমরা সেই পথ ধরে এগিয়ে চলেছি। গোহালবেড়্যা গ্রামে এসে রাস্তাটার দুটো ভাগ হয়ে গেছে। ডানে খাঁন্দারানি লেক। বাঁয়ে গাড়রাসিনি পাহাড়।
 |
| আগুইবিল গ্রামে পবিত্রা হোমস্টের কাছে |
গোহালবেড়্যা গ্রাম থেকে বাম দিকের রাস্তা ধরে কিছুটা যেতেই পথ হারিয়ে ফেললাম। জিপিএস কাজ করছে না। গ্রামের লোককে জিজ্ঞেস করে এদিক ওদিক ঘুরে চলে এলাম আগুইবিলে পবিত্রা হোমস্টের কাছে। রাস্তার ধারে গাড়ি দাঁড় করিয়ে নেমে এলাম। পাহাড়ের কোলে ছোট্ট গ্রাম আগুইবিল। প্রকৃতি এখানে উদার। দূরে দেখা যাচ্ছে গাড়রাসিনি পাহাড়। তখন আমাদের পাহাড়ে ওঠার মানসিকতা আর ছিল না। দু'একটা ছবি তুলে আবার গাড়ি ঘুরিয়ে নিলাম।
 |
| দূরে গাড়রাসিনি পাহাড় |
আগুইবিল থেকে আমরা আবার সেই আগের পথ ধরে চলেছি। গোহালবেড়্যা এসে পাকা রাস্তা ছেড়ে ডান দিকে খাঁন্দারানি লেকের পথ ধরলাম। পুরোটাই লাল মাটির রাস্তা, গ্রামের ভিতরে দিয়ে যাচ্ছি। মাঝমাঝে মনে হল এটা রাস্তা না বাড়ির উঠোন। গাড়ি চলল হেলতে, দুলতে লাফাতে, লাফাতে। বেলা এগারোটা নাগাদ এসে পৌঁছলাম খাঁন্দারানি লেকের ধারে। এরপর একটা ছোট্ট বাঁধের ওপর দিয়ে সরু লাল মোরামের রাস্তা ঢুকে গিয়েছে জঙ্গলের মধ্যে। এই পথে গাড়ি নিয়ে আর এগোনো যাবে না।
 |
| খাঁদারানি বাঁধ |
দূরে ওপারে ঝাড়খণ্ডের সীমানায় দেখা যায় ছোট ছোট টিলা পাহাড়ের সারি আর মাঝে বিশাল লেকের মধ্যে জেগে ওঠা ছোট ছোট কয়েকটা দ্বীপ যেন এখানে প্রকৃতিকে এক অপরূপ সৌন্দর্য্যে সাজিয়ে রেখেছে। আর যাওয়া গেল না। গাড়িটা সুবিধে মত জায়গায় রেখে আমরা গাড়ি থেকে নেমে এলাম।
 |
| লেকের ধারে |
অকৃত্রিম জলাশয়। খান্দারানি লেক। অপূর্ব তার বিন্যাস। চোখ জুড়ানো দৃশ্য, স্বচ্ছ নীল জল আর পাহাড়ের সবুজ মিলেমিশে একাকার। মনোরম লেকের জলে আকাশের প্রতিচ্ছবি, কিছু স্থানীয় মানুষ সেই জলে স্নান করছে, দু'একটা পাখি উড়ছে। এ যেন প্রকৃতির নিজস্ব ক্যানভাস। ক্যামেরা নিয়ে বেরিয়ে পড়লাম। প্রত্যেকে আপন খেয়ালে নিজের পছন্দমতো ছবি তুলতে শুরু করে দিলাম। লেকের পাশে বনের ভিতর দিয়ে হেঁটে চলেছি। লোকজনের চিহ্ন চোখে পড়ল না। নজর গেলো একটা ওয়াচ টাওয়ারের দিকে।
 |
| ওয়াচ টাওয়ার |
ওয়াচ টাওয়ার এর কাছে এসে দেখে মনে হলো নতুন তৈরি হয়েছে। এখনো সেভাবে মানুষের আনাগোনা শুরু হয়নি। ওয়াচ টাওয়ারের উপরে উঠে দেখি সে এক অপূর্ব নৈসর্গিক দৃশ্যমালা! ফিরে এলাম গাড়ির কাছে। লেকের একধারে শতরঞ্চি বিছিয়ে বসে পড়লাম। সাথে নিয়ে আসা ফ্রায়েড রাইস, বাটার পনীর আর আলুর দম দিয়ে সবাই মিলে পিকনিকের আমেজে এখানেই দুপুরের লাঞ্চটা সেরে নিলাম।
 |
| খাঁদারানির এই সৌন্দর্যেই পর্যটকদের হাতছানি দেয় |
লাঞ্চের পর আবার কিছুক্ষণ ড্যামের উপর ঘুরে কয়েকটা ছবি তুলে ঘাগরার উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম। প্রথমবার এখানে আসা। ঘুরতে আসার আগে পুরো জায়গাটা গুগল ম্যাপ ঘেঁটে দেখে নিয়েছি। অচেনা কোনো জায়গার উদ্দেশ্যে বেরোলে গুগল ম্যাপের ওপর ভরসা করেই গাড়ি চালায়। গুগল যেদিকে নির্দেশনা দেয়, গাড়ির চাকাও সেদিকে ঘুরিয়ে দিই। এখানেও গুগল ম্যাপের সাহায্য নিয়ে গাড়ি চালিয়ে যাচ্ছি। কিন্তু ইন্টারনেট সমস্যার জন্য মাঝেমাঝে জিপিএস কাজ করছে না। আমাদের পথ মেঠো গ্রাম্য, দেহাতিদের মধ্যে দিয়ে। গ্রামবাসীদের সাহায্য নিয়ে পথ চলতে হচ্ছে। কাঁচা রাস্তার দুপাশে সহজ সরল আদিবাসীদের গ্রাম, নানান রঙের বাহারি আলপনা আঁকা মাটির বাড়ি ঘর। অসংখ্য গরু, ছাগল, হাঁসের দলের সাইড দিয়ে গ্রামের ভিতর দিয়ে কোনোরকমে গাড়ি চালিয়ে চলেছি।
 |
| গ্রামের ভিতর দিয়ে চলেছি |
পুরোটাই মোরাম বিছান ঢেউ খেলা গ্রাম্য পথ। গ্রাম পেরিয়ে একটা বড় গাছের কাছে এসে গাড়ি থেকে নামলাম। যাবার আগের প্রিপারেসন যা ছিল কিছুতেই মিলছে না, বুঝতে পারলাম আমরা ভুলপথে চলে এসেছি। মোরামের রাস্তাটা হঠাৎ একটা গড়ানে নেমে গেছে। সামনে বালির চর, কিছুটা নীচে বয়ে চলেছে তারাফেনি। তারাফেনির জল, পাথরে পাথরে পড়তে পড়তে সশব্দে এগিয়ে চলেছে। এখানে, জলপ্রপাতের ডাক আছে, কিন্তু সেটা নেহাতই বাচ্চার কান্না। তবে হ্যাঁ, ল্যান্ডস্কেপ, অতুলনীয় সুন্দর।
 |
| জঙ্গলের কোলে শুয়ে রয়েছে স্বচ্ছ, স্থির তারাফেনি |
ডান দিকে দু’পাশে জঙ্গলের মাঝে জল, সেখানে মানুষের ভিড় জমে! ট্যুর-পার্টিদের হৈ হুল্লোড়, চেঁচামেচি হচ্ছে। বুঝে গেলাম এটাই 'ঘাগরা ঝর্ণা'; পিকনিক স্পট, বেড়ানোর জায়গা। গাড়ি যাওয়ার মতো রাস্তা নেই তাই রাস্তার একপাশে গাছতলায় গাড়ি রেখে পায়ে হেঁটে ঐদিকে এগিয়ে গেলাম। ঝর্ণার কাছে এসে দেখি তারাফেনি নদীর গোড়ালি ডোবা জল পেরিয়ে ওপাশের গ্রামগুলোতে অনায়সে চলে যাওয়া যায়।
 |
| পর্যটকদের ভিড় |
ব্যাসাল্ট পাথরে মোড়া ছোট টিলাময় জঙ্গলভূমি। স্বচ্ছ, স্থির তারাফেনি নদী তার মধ্যে দিয়ে বয়ে চলেছে। নদীর বুকে অজস্র নুড়িপাথর আর ছোট ছোট মাছেদের নির্ভয়ে ঘোরাফেরা। তারাফেনির জলের ধারা প্রবল বেগে আছড়ে পড়ে ব্যাসল্ট পাথরের গায়ে গর্ত তৈরি হয়ে সৃষ্টি করেছে এক ঝর্ণার, 'ঘাগরা ঝর্ণা'। এখন অবশ্য নদীতে তেমন স্রোত নেই। এই ঝর্ণার নিচে পাথরের প্রাকৃতিক গঠনশৈলী দেখে চোখ জুড়িয়ে যায়। এই সৌন্দর্যই পর্যটকদের মূল আকর্ষণ।
 |
| প্রকৃতির এই সৌন্দর্যই পর্যটকদের আকর্ষিত করে |
যুগ যুগ ধরে ক্ষয়ের ফলে এখানকার ব্যাসাল্ট পাথরগুলো জল ভরার কলসির মতো আকার ধারণ করেছে। কূরমালি ভাষায় 'কলসি' কথার অর্থ 'গাগরি', স্থানীয় ভাষায় 'গাগরা' বলে। তার থেকেই এই 'ঘাগরা' নামের উৎপত্তি বলে অনুমান করা হয়। এখানে, ঝর্ণার ডাক ক্ষীণ হলেও ল্যান্ডস্কেপ অতুলনীয় সুন্দর। প্রকৃতির সৌন্দর্য্যের টানে সারা বছরই ঘাঘরায় পর্যটকদের আনাগোনা থাকে। ফটোগ্রাফারদের জন্য জায়গাটা আদর্শ। এখানে বেশ কয়েকটা সিনেমার শ্যুটিং হয়েছে। আমাদের ফটোগ্রাফার 'স্বরূপ' পাথরের বিভিন্ন কোণ থেকে ফটো তোলার জন্য ঘোরাঘুরি শুরু করে দিলো। আমরা দু'জনে তাকে সঙ্গ দিলাম।
 |
| ঘাগরায় আমরা তিনজন |
ঘাঘরা থেকে তারাফেনি ব্যারেজ খুব বেশি দূরে নয়। কিন্তু খান্দারানি থেকে ফেরার পথে আমরা রাস্তা ভুল করেছিলাম, তাই ঘাঘরা থেকে আবার গ্রামের পথ ধরে মেন রাস্তায় উঠলাম। ডানে ঝিলিমিলির দিকে গেছে। বাঁয়ে হদরামোড় পেরিয়ে আর একটু এগিয়ে পড়ল বামুনডিহা মোড়। এবার নীল সাইন বোর্ড, বাঁয়ে হাফ কিমি ঘাগরা সোজা চার কিমি তারাফেনি ব্যারেজ। বামুনডিহা মোড় থেকে সোজা পুলিশ ক্যাম্প পেরিয়ে চলে এলাম তারাফেনি ব্যারেজ। ছোট আকারের ড্যাম। আহামরি কিছু নয়। তারাফেনি নদীর জল আটকে তৈরি হয়েছে এই ব্যারেজ। ড্যামের ওপর দিয়ে রাস্তাটা বারিকুল কিংবা ঘুরে শিলদায় গিয়ে মেশে।
 |
| তারাফেনি ব্যারেজ |
তারাফেনি ব্যারেজের উল্টোদিকে অসংখ্য খেজুর গাছের সারি। এখানে আমাদের প্রাপ্তি বলতে কেবল টাটকা নির্ভেজাল খেজুরের গুড়। ব্যারেজের নীচে নেমে, এদিক ওদিক ঘোরাঘুরি সারতে সারতে বিকেল হয়ে গেলো।
 |
| তারাফেনি নদী |
তারাফেনি ব্যারেজের পাশেই দেখি একটা খড়ের চালা দেওয়া ঝুপড়িতে খেজুর গুড় আর পাটালি তৈরি হচ্ছে। কিন্তু সেখানে কাউকে দেখতে পাওয়া গেলো না। সৌমেন কয়েকজনকে জিজ্ঞেস করে ফোন নম্বর জোগাড় করে ডেকে নিয়ে এলো খেজুর গুড়ের বিক্রেতাকে।
 |
| তৈরি হচ্ছে সুস্বাদু খেজুরের গুড় |
কেনাকাটা পর্ব শেষ হলো। বিকেল চারটেতেই দিনের আলো কমে এসেছে। জঙ্গলাকীর্ণ পথে আবার ফিরতে হবে। সুতরাং আর দেরি না করে এবার বাড়ি ফেরা যাক। আবার থানা, বিডিও অফিস ছেড়ে ধুলো উড়াতে উড়াতে শেষে ব্যাক টু ইন্দিরা চক; এরপর মেন রাস্তা ধরে শিলদা পেরিয়ে সোজা বাড়ি।
 |
| গুড় তৈরির কারিগরের সাথে আমরা |
» প্রয়োজনীয় তথ্যবেলপাহাড়ীর আশপাশে ঘুরে দেখার মতো অনেক জায়গা রয়েছে যেমনঃ- ঘাগরা জলপ্রপাত, তারাফেনি ব্যারেজ, কানাইসোর পাহাড়, গজডুংরি, গাড়রাসিনি পাহাড়, খাঁন্দারানি লেক, লালজল গুহা, ময়ূরঝর্ণা, আমঝর্ণা, কাঁকড়াঝোড় জঙ্গল ও ভৈরব থান, কেটকি ঝর্ণা লেক, হাঁসা ডুংরি (শ্বেত পাথরের পাহাড়), চাতন ডুংরি প্রাগ ঐতিহাসিক গুহা, ঢাঙ্গিকুসুম এর হুদহুদি জলপ্রপাত ইত্যাদি। এখানে ঘুরতে এলে ঝাড়গ্রামে থাকা সবচেয়ে ভালো। খাওয়াদাওয়া করার জন্য যেতে পারেন বেলপাহাড়ির 'কাঁচা লঙ্কা রেস্টুরেন্ট'-এ। এখন বেলপাহাড়িতে থাকার জন্য অনেক হোম স্টে হয়েছে যদিও আমার নজরে কেবলমাত্র গাড়রাসিনির কাছে আগুইবিলে 'পবিত্রা হোমস্টে' নজরে পড়েছে।
» বেলপাহাড়ীতে থাকার জন্য লজ ও গেস্ট হাউস- তারাফেনি কটেজঃ- +৯১ ৮৯০০৩৬০২২২, +৯১ ৯৭৩৩৭৯৫৩৪০
- বিনপুর পঞ্চায়েত সমিতি গেস্ট হাউসঃ- +৯১ ৯৮০০০৩৩৬৩৩
- লাল পিঁপড়ে ফ্যামিলি গেস্ট হাউসঃ- +৯১ ৭৫০১৬৪৪৭৮৮, +৯১ ৭০০১১৮৪৬১৫
- অতিথি নিবাসঃ- +৯১ ৯৪৭৪৪০৫৪৬৪, +৯১ ৯৭৩২৭৩৯৮৯৭
- অরণ্য গেস্ট হাউসঃ- +৯১ ৯৬৪৭২৭৫৫৫৩, +৯১ ৯৬৭৯১৭৫৫৫৩
- বিজলি ভবনঃ- +৯১ ৯৯৩২৬৮৮৭২৩, +৯১ ৯৬৭৯৬৩২৪৩১, +৯১ ৮১৬৭৭৬৩৯৫৮
- রাজ হোমস্টেঃ- +৯১ ৮৯৭২৯১৮৫৮৯, +৯১ ৮৬৭০৩৪২০৮৪
- তিতলি হোমস্টেঃ- +৯১ ৯৬৪৭২৯৭২৮৩
- তৃপ্তি হোটেল এন্ড হোমস্টেঃ- +৯১ ৮৬৭০৩৪২০৮৮, +৯১ ৯৭৩২৫৩১০৪৯
- বাগানবাড়ি হোমস্টেঃ-+৯১ ৭৫৪৭৯২৮২০২, +৯১ ৮৯২৭৬৪২৫৭৫
- পবিত্রা হোমস্টেঃ- +৯১ ৮১১৬৫৭৭৩৩০, +৯১ ৬২৯৫২৩১৪১৬
- বেলপাহাড়ি গেস্ট হাউসঃ- +৯১ ৮৯৭২৯৯৯৯২৬
- বেলপাহাড়ি ফরেস্ট বাংলোঃ- (ঝাড়গ্রাম ফরেস্ট অফিস) +৯১ ৩২২১২৫৫০১০
» বেলপাহাড়িতে খাওয়াদাওয়ার জন্য রয়েছে- 'কাঁচা লঙ্কা রেস্টুরেন্টঃ- +৯১ ৮৯৪৫৮৭৬৭১৯
- তৃপ্তি হোটেলঃ- +৯১ ৮৬৭০৩৪২০৮৮, +৯১ ৯৭৩২৫৩১০৪৯
- হোটেল অভিনন্দনঃ- +৯১ ৯০৮৩৪৯৭২২৮
- খেয়াতরী হিন্দু হোটেলঃ- +৯১ ৯৯৩২৩৪৬২০৭, +৯১ ৯৯৩৩০৭৪৫৮৯
- হালদার হোটেলঃ- +৯১ ৯৭৩৩৭৫৯৫২৫
» পথ নির্দেশিকা
© ছবি ও লেখাঃ- অরবিন্দ পাল
খুবই মনোরম বর্ণনা। অসাধারণ গল্প গাথা
ReplyDelete